বুধবার, ২৭ জুন, ২০১২

কুরআন-হাদীছের আলোকে শবে বরাত - পর্ব ২০


بسم الله الرحمن الرحيم

ওলী-বুজুর্গদের দৃষ্টিতে শবেবরাত পালনঃ
পূর্বে উল্লেখিত দলীলসমূহের আলোকে অধিকাংশ সলফে সালেহীন তথা ওলী বুজুর্গানে দ্বীন শবে বরাতের তাপর্য ও ফজীলতের পক্ষে ছিলেনতাঁরা রাতটিকে খুবই সম্মানিত ও মর্যাদাপূর্ণ মনে করতেনঅধীর আগ্রহে অপেক্ষা করতেন, যেন রাতটি ইবাদতে কাটে এবং তার মাহাত্ন্য ও ফজীলত অর্জন করা যায়কিন্তু যেমনিভাবে সলফে সালেহীন তো এই রাতে জাগরণ থেকে ইবাদত করার প্রতি গুরুত্বারোপ করেছেন, তেমনিভাবে এ রাতকে কেন্দ্র করে সংঘটিত যাবতীয় কুসংস্কার ও বিদআত থেকে কঠোরভাবে নিষেধ করেছেনকেননা, আহলে-হক রসূল প্রেমিক সকল মুসলমানের ঈমানী কর্তব্য হলো, যে আমল শরীয়তে যতটুকু প্রমাণিত সেই আমলটিকে ঠিক ততটুকুতেই সীমাবদ্ধ রাখাএর মধ্যে অতিরঞ্জিত করা, নিজ খুশিমত কোন আমল সংযোজন করা পরিস্কার বিদআত বলে গণ্য-যা দ্বীনের জন্য বড় সর্বনাশ ও পথভ্রষ্টতার মূল কারণ
যথাঃ
আল্লামা ইবনুল হাজ্ব মালিকী উক্ত রাত সম্পর্কে সলফে সালেহীনের দৃষ্টিভঙ্গি এবং তাদের আমল উল্লেখ করতে গিয়ে বলেনঃ
" সন্দেহ নেই, রাতটি একটি মুবারক রাতমহান আল্লাহর নিকট মর্যাদাসম্পন্ন মোটকথা,

কুরআন-হাদীছের আলোকে শবে বরাত - পর্ব ১৯


بسم الله الرحمن الرحيم

হাদীছের আলোকে শবেবরাতের ফজীলত ও আমলসমূহঃ
ইতিপূর্বে শবেবরাতের শরয়ী প্রমাণ সম্পর্কে বারটি হাদীছ এবং এর সূত্র বা সনদ ও তার পর্যালোচনা সবিস্তারে উল্লেখ করা হয়েছেএ পরিচ্ছেদে আমরা শবেবরাতের মাহাত্ন্য, বৈশিষ্ট্য, ফজীলত ও আমলসমূহ যা পবিত্র হাদীছ দ্বারা প্রমাণিত সেগুলো সংক্ষেপে পেশ করা হচ্ছে

এ রাতে হায়াত-মউত ও বার্ষিক বাজেটের ফয়সালা হয়ঃ
হযরত আয়েশা (রঃ) হযরত নবী (সঃ) থেকে বর্ণনা করেনঃ
শবে বরাতে কি ঘটে সম্পর্কে হযরত আয়েশা (রঃ) রসূল (সঃ) থেকে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এই রাতের কার্যক্রম হলো এই বছর যত (সন্তান) জন্মগ্রহণ করবে তা লিপিবদ্ধ করা হয়আর এই বছর যত (লোক) ইন্তেকাল করবে তা লিখা হয়আর এই রাতেই বান্দাদের (সারা বছরের) কার্যাবলী (আসমানে) উঠানো হয় আর এই রাতেই নির্ধারিত রিযিক অবতীর্ণ হয়তারপর আয়েশা (রঃ) জানতে চাইলেন যে হুজুর ! আল্লাহর রহমত করুণা ছাড়া কেউ কি বেহেশতে যেতে পারবে? রসূল (সঃ)

কুরআন-হাদীছের আলোকে শবে বরাত - পর্ব ১৮


بسم الله الرحمن الرحيم

হাদীছের আলোকে শবে বরাত - ১০
গত কয়েক পর্বে আমরা শবে বরাতের ফযীলত সম্পর্কিত মোট এগারটি হাদীস উল্লেখ করে সেগুলোর কয়েকটিকে সহীহ বা হাসান প্রমাণ করেছিলামযদি শবে বরাতের ফযীলতের ব্যাপারে আর কোন হাদীস না থাকত, তবে এই হাদীসগুলোই এ রাতের ফযীলত সাব্যস্ত হওয়ার জন্য এবং এ রাতে মাগফেরাতের উপযোগী নেক আমলের গুরুত্ব প্রমাণিত হওয়ার জন্য যথেষ্ট হত
এই পর্বে আমরা আরও একটি হাদীস সম্পর্কে আলোচনা করব এবং সাথে সাথে এই হাদীস সম্পর্কে মুহাদ্দিসীনদের মতামত পর্যালোচনা করব

দ্বাদশ হাদীছ(حديث ضعيف)
আব্দুল্লাহ ইবনে উমর (রঃ) থেকে বর্ণিত তিনি বলেছেন, পাঁচটি রাত এমন আছে যে রাতগুলোতে দু'আ ফেরত দেয়া হয় নাজুমআর রাত, রজবের প্রথম রাত, শাবানের পনের তারিখ এর রাত

কুরআন-হাদীছের আলোকে শবে বরাত - পর্ব ১৭


بسم الله الرحمن الرحيم
হাদীছের আলোকে শবে বরাত - ৯
গত কয়েক পর্বে আমরা শবে বরাতের ফযীলত সম্পর্কিত মোট দশটি হাদীস উল্লেখ করে সেগুলোর কয়েকটিকে সহীহ বা হাসান প্রমাণ করেছিলামযদি শবে বরাতের ফযীলতের ব্যাপারে আর কোন হাদীস না থাকত, তবে এই হাদীসগুলোই এ রাতের ফযীলত সাব্যস্ত হওয়ার জন্য এবং এ রাতে মাগফেরাতের উপযোগী নেক আমলের গুরুত্ব প্রমাণিত হওয়ার জন্য যথেষ্ট হত
এই পর্বে আমরা আরও একটি হাদীস সম্পর্কে আলোচনা করব এবং সাথে সাথে এই হাদীস সম্পর্কে মুহাদ্দিসীনদের মতামত পর্যালোচনা করব

একাদশ হাদীছ( اسناده ضعيف لكن ليس فيه كذاب )
হযরত আলী ইবনু আবি তালিব (রঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ রসূলুল্লাহ (সঃ) ইরশাদ করেছেনঃ শাবান মাসের পনের তারিখ রাত আসলে তখন তার রাতের অংশে ইবাদত করো এবং দিনের অংশে রোজা রাখোকারণ ওই রাতে সূর্যাস্ত যাওয়ার পর মহান আল্লাহ প্রথম আসমানে অবতরণ করে বলতে থাকেন, আছো কি কোন মাগফিরাতের প্রত্যাশী? তাকে আমি

কুরআন-হাদীছের আলোকে শবে বরাত - পর্ব ১৬


بسم الله الرحمن الرحيم
হাদীছের আলোকে শবে বরাত - ৮
গত কয়েক পর্বে আমরা শবে বরাতের ফযীলত সম্পর্কিত মোট নয়টি হাদীস উল্লেখ করে সেগুলোকে সহীহ বা হাসান প্রমাণ করেছিলামযদি শবে বরাতের ফযীলতের ব্যাপারে আর কোন হাদীস না থাকত, তবে এই হাদীসগুলোই এ রাতের ফযীলত সাব্যস্ত হওয়ার জন্য এবং এ রাতে মাগফেরাতের উপযোগী নেক আমলের গুরুত্ব প্রমাণিত হওয়ার জন্য যথেষ্ট হত
এই পর্বে আমরা আরও একটি হাদীস সম্পর্কে আলোচনা করব এবং সাথে সাথে এই হাদীস সম্পর্কে মুহাদ্দিসীনদের মতামত পর্যালোচনা করব

দশম হাদীছ( اسناده ضعيف )
উছমান ইবনু আবিল আস নবী করীম (সঃ) থেকে বর্ণনা করেন, তিনি বলেছেনঃ যখন শাবান মাসের পনের তারিখ রাত আগমণ করে তখন জনৈক আহবানকারী আল্লাহর পক্ষ থেকে আহবান করতে থাকেন যে, আছো কি কোন ক্ষমার ভিখারী তাকে আমি ক্ষমা করে দিবো? আছো কি

কুরআন-হাদীছের আলোকে শবে বরাত - পর্ব ১৫


بسم الله الرحمن الرحيم
হাদীছের আলোকে শবে বরাত - ৭
গত কয়েক পর্বে আমরা শবে বরাতের ফযীলত সম্পর্কিত মোট আটটি হাদীস উল্লেখ করে সেগুলোকে সহীহ বা হাসান প্রমাণ করেছিলামযদি শবে বরাতের ফযীলতের ব্যাপারে আর কোন হাদীস না থাকত, তবে এই হাদীসগুলোই এ রাতের ফযীলত সাব্যস্ত হওয়ার জন্য এবং এ রাতে মাগফেরাতের উপযোগী নেক আমলের গুরুত্ব প্রমাণিত হওয়ার জন্য যথেষ্ট হত
এই পর্বে আমরা আরও একটি হাদীস সম্পর্কে আলোচনা করব এবং সাথে সাথে এই হাদীস সম্পর্কে মুহাদ্দিসীনদের মতামত পর্যালোচনা করব

নবম হাদীছ( حديث صحيح بشواهده واسناده مر سل جيد )
কাসীর ইবনু মুররাহ আল হাযরামী থেকে বর্ণিত, হুযুর (সঃ) বলেছেনঃ আল্লাহ তাআলা শাবানের পনের তারিখ রাত্রি অবতরণ করতঃ মুশরিক এবং হিংসাপরায়ণ লোক ছাড়া অন্যান্য সকলের

কুরআন-হাদীছের আলোকে শবে বরাত - পর্ব ১৪



بسم الله الرحمن الرحيم
হাদীছের আলোকে শবে বরাত - ৬
গত চার পর্বে আমরা শবে বরাতের ফযীলত সম্পর্কিত মোট ছয়টি হাদীস উল্লেখ করে সেগুলোকে সহীহ বা হাসান প্রমাণ করেছিলামযদি শবে বরাতের ফযীলতের ব্যাপারে আর কোন হাদীস না থাকত, তবে এই তিনটি হাদীসই এ রাতের ফযীলত সাব্যস্ত হওয়ার জন্য এবং এ রাতে মাগফেরাতের উপযোগী নেক আমলের গুরুত্ব প্রমাণিত হওয়ার জন্য যথেষ্ট হত
এই পর্বে আমরা আরও দুইটি হাদীস সম্পর্কে আলোচনা করব এবং সাথে সাথে এই হাদীস সম্পর্কে মুহাদ্দিসীনদের মতামত পর্যালোচনা করব

সপ্তম হাদীছ( صحيح بشواهده )
হযরত আবু হুরায়রা (রঃ) থেকে বর্ণিতঃ রসূলুল্লাহ (সঃ) ইরশাদ করেছেন, শাবানের পনের তারিখ রাতে আল্লাহ তাআলা মুশরিক এবং বিদ্বেষী ছাড়া সকল বান্দাকে ক্ষমা করে দেন

কুরআন-হাদীছের আলোকে শবে বরাত - পর্ব ১৩


بسم الله الرحمن الرحيم
হাদীছের আলোকে শবে বরাত - ৫
গত তিন পর্বে আমরা শবে বরাতের ফযীলত সম্পর্কিত তিনটি হাদীস উল্লেখ করে সেগুলোকে সহীহ বা হাসান প্রমাণ করেছিলামযদি শবে বরাতের ফযীলতের ব্যাপারে আর কোন হাদীস না থাকত, তবে এই তিনটি হাদীসই এ রাতের ফযীলত সাব্যস্ত হওয়ার জন্য এবং এ রাতে মাগফেরাতের উপযোগী নেক আমলের গুরুত্ব প্রমাণিত হওয়ার জন্য যথেষ্ট হত
কিন্তু শবে বরাতের ফযীলতের ব্যাপারে আরও সহীহ বা হাসান হাদীছ বিদ্যমানএই পর্বে আমরা আরও একটি হাদীস সম্পর্কে আলোচনা করব এবং সাথে সাথে এই হাদীস সম্পর্কে মুহাদ্দিসীনদের মতামত পর্যালোচনা করব

৪র্থ হাদীছ (حسن صحيح لغيره)
হযরত আয়শা (রঃ) বলেন, এক রাতে আমি হুযুর (সঃ) কে বিছানাতে পেলাম নাতাই তাঁকে খোজ করার উদ্দেশ্যে বের হলামতখন দেখতে পেলাম তিনি জান্নাতুন বাকীতে আছেনআমাকে দেখে তিনি বলে উঠেন, তুমি কি এই আশংকা করছো যে, আল্লাহ এবং তাঁর রসূল (সঃ) তোমার

কুরআন-হাদীছের আলোকে শবে বরাত - পর্ব ১২


بسم الله الرحمن الرحيم
হাদীছের আলোকে শবে বরাত - ৪
গত দুই পর্বে আমরা শবে বরাতের ফযীলত সম্পর্কিত দুইটি হাদীস উল্লেখ করে সেগুলোকে সহীহ প্রমাণ করেছিলামযদি শবে বরাতের ফযীলতের ব্যাপারে আর কোন হাদীস না থাকত, তবে এই দুটি হাদীসই এ রাতের ফযীলত সাব্যস্ত হওয়ার জন্য এবং এ রাতে মাগফেরাতের উপযোগী নেক আমলের গুরুত্ব প্রমাণিত হওয়ার জন্য যথেষ্ট হত
কিন্তু শবে বরাতের ফযীলতের ব্যাপারে আরও সহীহ বা হাসান হাদীছ বিদ্যমানএই পর্বে আমরা আরও একটি হাদীস সম্পর্কে আলোচনা করব এবং সাথে সাথে এই হাদীস সম্পর্কে মুহাদ্দিসীনদের মতামত পর্যালোচনা করব

তৃতীয় হাদীছ (حسن)
হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আমর (রঃ) থেকে বর্ণিত রসূল (সঃ) বলেছেন, শাবানের পনের তারিখ রাতে মহান আল্লাহ স্বীয় সৃষ্টিজীবের প্রতি বিশেষ দৃষ্টি দেন এবং নিজ বান্দাদেরকে ক্ষমা করে

কুরআন-হাদীছের আলোকে শবে বরাত - পর্ব ১১


بسم الله الرحمن الرحيم
হাদীছের আলোকে শবে বরাত - ৩
গত পর্বে আমরা শবে বরাতের ফযীলত সম্পর্কিত একটি হাদীস উল্লেখ করে সেটি সহীহ প্রমাণ করেছিলামযদি শবে বরাতের ফযীলতের ব্যাপারে দ্বিতীয় কোন হাদীস না থাকত, তবে এই হাদীসটিই এ রাতের ফযীলত সাব্যস্ত হওয়ার জন্য এবং এ রাতে মাগফেরাতের উপযোগী নেক আমলের গুরুত্ব প্রমাণিত হওয়ার জন্য যথেষ্ট হত
কিন্তু শবে বরাতের ফযীলতের ব্যাপারে আরও সহীহ বা হাসান হাদীছ বিদ্যমানএই পর্বে আমরা আরও একটি হাদীস সম্পর্কে আলোচনা করব এবং সাথে সাথে এই হাদীস সম্পর্কে মুহাদ্দিসীনদের মতামত পর্যালোচনা করব

দ্বিতীয় হাদীছ (الصحيح درجة فى حسن)
হযরত আবু বকর সিদ্দীক (রঃ) থেকে বর্ণিত, হুযুর (সঃ) বলেছেনঃ শাবান মাসের পঞ্চদশ রজনীর আগমণ হলে মহান আল্লাহ পৃথিবীর আসমানে তাশরীফ আনেন এবং স্বীয় বান্দাদিগকে

মঙ্গলবার, ২৬ জুন, ২০১২

কুরআন-হাদীছের আলোকে শবে বরাত - পর্ব ১০


بسم الله الرحمن الرحيم

হাদীছের আলোকে শবে বরাত -
গত পর্বে আমরা হাদীস শাস্ত্রের কিছু নীতিমালা সম্পর্কে আলোকপাত করেছিলাম
এ পর্যায়ে সাহাবায়ে কেরাম (রঃ) থেকে শবে বরাত সম্পর্কিত বর্ণিত হাদীছগুলোর মূল বক্তব্য ( متن ) এবং সেগুলোর সূত্র ( سند ) সম্পর্কে আলোচনা পর্যালোচনা আমরা সবিস্তারে উপস্থাপন করছি
হযরত মুআয ইবনু জাবাল (রঃ) রসূলুল্লাহ (সঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, আল্লাহ তাআলা

কুরআন-হাদীছের আলোকে শবে বরাত - পর্ব ০৯


بسم الله الرحمن الرحيم

হাদীছের আলোকে শবে বরাত - ১
শবে বরাত সম্পর্কে বর্তমানের কিছু স্থূল দৃষ্টিসম্পন্ন লোকের দৃষ্টিভঙ্গি হচ্ছে যে, শবে বরাত সম্পর্কীয় যেসব হাদীছ পাওয়া যায়, সেগুলো মওজু তথা মনগড়া ও জাল হাদীছএ ভ্রান্ত দৃষ্টিভঙ্গির ভিত্তিতে তারা শবে বরাতের ফজীলতকে সম্পূর্ণ অস্বীকার করে বসেএমনকি এ রাতে জাগরণ থেকে ইবাদত-বন্দেগী, যিকির, তেলাওয়াতসহ সকল নফল ইবাদত করাকে বিদআত মনে করে

শবে বরাত সম্পর্কে হাদীছের কিতাবসমূহ গভীরভাবে অধ্যয়ন করলে কিংবা হাদীছ শাস্ত্রে সম্যক ধারণা থাকলে একথা দিবালোকের ন্যায় স্পষ্ট হয়ে উঠে যে, তাদের এ

কুরআন-হাদীছের আলোকে শবে বরাত - পর্ব ০৮


بسم الله الرحمن الرحيم
মহাগ্রন্থের ২৫ তম পারা ও ৪৪ নং সূরা দুখানের শুরুতে যে পাঁচটি আয়াত রয়েছে সে আয়াতগুলোই লাইলাতুল বারাআত বিষয়ক আলোচনার মূল কেন্দ্রবিন্দুতাই আয়াতগুলো প্রথমে অর্থসহ পেশ করা হচ্ছে

حم وَالْكِتَابِ الْمُبِينِ إِنَّا أَنزَلْنَاهُ فِي لَيْلَةٍ مُّبَارَكَةٍ ۚ إِنَّا كُنَّا مُنذِرِينَ فِيهَا يُفْرَقُ كُلُّ أَمْرٍ حَكِيمٍ أَمْرًا مِّنْ عِندِنَا ۚ إِنَّا كُنَّا مُرْسِلِينَ
হা মীম (এ অক্ষরদুটি হরূফে মুকাত্ত্যিয়াত বা বিকর্তিত বর্ণ যার অর্থ আল্লাহই ভাল জানেন) শপথ প্রকাশ্য কিতাবেরনিশ্চয় আমি কুরআন নাযিল করেছি এক বরকতময় রাতেনিশ্চয়

কুরআন-হাদীছের আলোকে শবে বরাত - পর্ব ০৭


بسم الله الرحمن الرحيم
মহাগ্রন্থের ২৫ তম পারা ও ৪৪ নং সূরা দুখানের শুরুতে যে পাঁচটি আয়াত রয়েছে সে আয়াতগুলোই লাইলাতুল বারাআত বিষয়ক আলোচনার মূল কেন্দ্রবিন্দুতাই আয়াতগুলো প্রথমে অর্থসহ পেশ করা হচ্ছে

حم وَالْكِتَابِ الْمُبِينِ إِنَّا أَنزَلْنَاهُ فِي لَيْلَةٍ مُّبَارَكَةٍ ۚ إِنَّا كُنَّا مُنذِرِينَ فِيهَا يُفْرَقُ كُلُّ أَمْرٍ حَكِيمٍ أَمْرًا مِّنْ عِندِنَا ۚ إِنَّا كُنَّا مُرْسِلِينَ
হা মীম (এ অক্ষরদুটি হরূফে মুকাত্ত্যিয়াত বা বিকর্তিত বর্ণ যার অর্থ আল্লাহই ভাল জানেন) শপথ প্রকাশ্য কিতাবেরনিশ্চয় আমি কুরআন নাযিল করেছি এক বরকতময় রাতেনিশ্চয়

কুরআন-হাদীছের আলোকে শবে বরাত - পর্ব ০৬


بسم الله الرحمن الرحيم
মহাগ্রন্থের ২৫ তম পারা ও ৪৪ নং সূরা দুখানের শুরুতে যে পাঁচটি আয়াত রয়েছে সে আয়াতগুলোই লাইলাতুল বারাআত বিষয়ক আলোচনার মূল কেন্দ্রবিন্দুতাই আয়াতগুলো প্রথমে অর্থসহ পেশ করা হচ্ছে

حم وَالْكِتَابِ الْمُبِينِ إِنَّا أَنزَلْنَاهُ فِي لَيْلَةٍ مُّبَارَكَةٍ ۚ إِنَّا كُنَّا مُنذِرِينَ فِيهَا يُفْرَقُ كُلُّ أَمْرٍ حَكِيمٍ أَمْرًا مِّنْ عِندِنَا ۚ إِنَّا كُنَّا مُرْسِلِينَ
হা মীম (এ অক্ষরদুটি হরূফে মুকাত্ত্যিয়াত বা বিকর্তিত বর্ণ যার অর্থ আল্লাহই ভাল জানেন) শপথ প্রকাশ্য কিতাবেরনিশ্চয় আমি কুরআন নাযিল করেছি এক বরকতময় রাতেনিশ্চয়

কুরআন-হাদীছের আলোকে শবে বরাত - পর্ব ০৫

بسم الله الرحمن الرحيم
এ মহাগ্রন্থের ২৫ তম পারা ও ৪৪ নং সূরা দুখানের শুরুতে যে পাঁচটি আয়াত রয়েছে সে আয়াতগুলোই লাইলাতুল বারাআত বিষয়ক আলোচনার মূল কেন্দ্রবিন্দুতাই আয়াতগুলো প্রথমে অর্থসহ পেশ করা হচ্ছে

حم وَالْكِتَابِ الْمُبِينِ إِنَّا أَنزَلْنَاهُ فِي لَيْلَةٍ مُّبَارَكَةٍ ۚ إِنَّا كُنَّا مُنذِرِينَ فِيهَا يُفْرَقُ كُلُّ أَمْرٍ حَكِيمٍ أَمْرًا مِّنْ عِندِنَا ۚ إِنَّا كُنَّا مُرْسِلِينَ
হা মীম (এ অক্ষরদুটি হরূফে মুকাত্ত্যিয়াত বা বিকর্তিত বর্ণ যার অর্থ আল্লাহই ভাল জানেন) শপথ প্রকাশ্য কিতাবেরনিশ্চয় আমি কুরআন নাযিল করেছি এক বরকতময় রাতেনিশ্চয়

কুরআন-হাদীছের আলোকে শবে বরাত - পর্ব ০৪


بسم الله الرحمن الرحيم

কুরআনের দৃষ্টিতে লাইলাতুল বারাআত - ১

এ পর্যন্ত যে রাতের ৫টি নাম ও নামকরণের কারণসহ উদ্ধৃত হয়েছে সে লাইলাতুল বারাআত তথা শবেবরাত সম্পর্কে মহাগ্রন্থ আল-কুরআনুল কারীমে যে আলোচনা এসেছে সেটা একটু গবেষণা ও ব্যাখ্যা সাপেক্ষ

এ মহাগ্রন্থের ২৫ তম পারা ও ৪৪ নং সূরা দুখানের শুরুতে যে পাঁচটি আয়াত রয়েছে সে আয়াতগুলোই লাইলাতুল বারাআত বিষয়ক আলোচনার মূল কেন্দ্রবিন্দুতাই আয়াতগুলো

কুরআন-হাদীছের আলোকে শবে বরাত - পর্ব ০৩


بسم الله الرحمن الرحيم

লাইলাতুল বারাআত পরিচিতি

বার মাস সম্বলিত আরবী বছরের ৮ম মাস হচ্ছে মাহে শাবানযা রমজানের পূর্ববর্তী সময়ে অবস্থিতএ শাবান মাসের ১৪ তারিখ দিবাগত রাতকে ফার্সী ভাষায় শবে বরাত বলা হয়ফার্সীতে শব অর্থ রাত/রজনী; বরাত অর্থা ভাগ্যশবে বরাত অর্থা ভাগ্যরজনীআরবী ভাষায়ও বরাত শব্দ ব্যবহৃত হয়তবে তখন উচ্চারণ হবে বারাআতআর শব শব্দের আরবী অনুবাদ (প্রতিশব্দ) হলো লাইলাতুন কাজেই ভাষারীতির আলোকে বলতে হবে ليلة البراءةলাইলাতুল বারাআত বা পরিত্রাণের রজনী

এ রাতকে কুরআনের ভাষায় (মুফাসসিরীনের একটি দলের মতানুসারে) লাইলাতুল মুবারাকাহ ” ( ليلة مباركة ) বরকতময় রাত এবং হাদীছের ভাষায় লাইলাতুন নিসফি মিন

কুরআন-হাদীছের আলোকে শবে বরাত - পর্ব ০২



ভূমিকাঃ

এতদিন পর্যন্ত শবে বরাতকে কেন্দ্র করে এক শ্রেণীর মানুষ বাড়াবাড়িতে লিপ্ত ছিলতারা এ রাতটি উপলক্ষে নানা অনুচিত কাজকর্ম এবং রসম-রেওয়াজের অনুগামী হচ্ছিলউলামায়ে কেরাম সবসময়ই এসবের প্রতিবাদ করেছেন এবং এখনো করছেন

আবার ইদানিং আবার এক শ্রেণীর মানুষের মধ্যে ছাড়াছাড়ির প্রবণতা দেখা যাচ্ছে তাদের দাবী হল, ইসলামে শবে বরাতের কোন ধারণা নেইএ ব্যাপারে যত রেওয়ায়েত আছে সব মওযু বা যয়ীফএসব অনুযায়ী আমল করা এবং শবে বরাতকে বিশেষ কোন ফযীলতপূর্ণ রাত মনে করা

কুরআন-হাদীছের আলোকে শবে বরাত - পর্ব ০১


بسم الله الرحمن الرحيم

الحمد لله وكفى وسلام على عباده الذين اصطفى وبعد
এখন রজবের ৫ তারিখশাবান মাস আসতে অনেক দেরী, দেরী আছে শাবান মাসের পঞ্চদশ রজনী তথা শবে বরাত আসতেতাই হয়তো এই অসময়ে শবে বরাত সম্পর্কিত পোস্ট দেখে অনেকে অবাক হচ্ছেনতবে শবে বরাত সম্পর্কে এত তাড়াতাড়ি কেন পোস্ট দেওয়া হল, তা জানার আগে সবাইকে অনুরোধ করব দয়া করে নিচের লিখাগুলো একটু মনোযোগ দিয়ে পড়ুন, কারণ শবে বরাতের পাশাপাশি নিচের বিষয়গুলো জানাও আমাদের জন্য অনেক জরুরী

সম্প্রীতি ও ঐক্যঃ

মুসলিম উম্মাহ পরস্পর ঐক্যবদ্ধ থাকা এবং নিজেদের একতা ও সংহতি রক্ষা করা ইসলামের একটি মৌলিক ফরযতেমনি সুন্নাহর অনুসরণ তথা আল্লাহর রাসূলের শরীয়ত এবং তাঁর উসওয়াহ ও আদর্শকে সমর্পিত চিত্তে স্বীকার করা এবং বাস্তবজীবনে চর্চা করা তাওহীদ ও ঈমান বিল্লাহর পর ইসলামের সবচেয়ে বড় ফরয

সুতরাং সুন্নাহর অনুসরণ যে দ্বীনের, বিধান উম্মাহর ঐক্য ও সংহতি রক্ষা এবং বিভেদ ও

শনিবার, ৯ জুন, ২০১২

মিরাজুন্নবী স্বপ্নে নাকি স্বশরীরে হয়েছিল?


মিরাজ রজনীতে আমাদের প্রিয় নুর নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম স্বশরীরে ঊর্ধাকাশে ভ্রমন করতে গিয়েছিলেন নাকি এটা স্বপ্নযোগে হয়েছিল এ বিষয়ে যথেষ্ঠ মতানৈক্য রয়েছেতিনি স্বচক্ষে মহান আল্লাহ্ পাককে দেখেছেন কিনা এ ব্যাপারেও মতভেদ আছে বিস্তর

আমরা এবার এ প্রশ্নগুলোর উত্তর খুঁজে দেখার চেষ্টা করবো

প্রত্যেক আম্বিয়া আলাইহিস সালামকে মহান আল্লাহ্ রাব্বুল ইজ্জত বিশেষ বিশেষ মুজিজা দান করেছেনযেমন- হযরত মুসা আলাইহিস সালামর লাঠি মাটিতে ফেলা মাত্রই জীবন্ত সাপে পরিণত হত, তাঁর লাঠির আঘাতে মাটি হতে সুপেয় পানির প্রস্রবন প্রবাহিত হয়েছিল এবং তিনি মহান আল্লাহ্ রাব্বুল আলামীনের সাথে সরাসরি কথোপকথন করার মত মহাসম্মানিত মর্যাদার আসনে অভিসিক্ত ছিলেনহযরত ঈসা আলাইহিস সালামর হাত