শনিবার, ১৫ ডিসেম্বর, ২০১২

“মসজিদের আদব-কায়দা ও সম্মান এবং আমাদের করনীয়”

  ------------------আ স ম আহসান উল্লাহ আব্দুল্লাহ


মসজিদ হলো পৃথিবীর বুকে মহান আল্লাহর পবিত্র ঘর। ইসলাম ও মুসলমানদের দৈনন্দিন ইবাদতের সর্বোচ্ছ  পবিত্র স্থান এই মসজিদ। এর পবিত্র রক্ষা করা প্রত্যেক মুসলমানের উপর ফরয।
মসজিদের পবিত্রতা রক্ষা করার গুরুত্ত্ব বর্ণনা করতে গিয়ে, হযরত আবু সাঈদ খুদরী রাদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু বলেন-নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, যে ব্যক্তি মসজিদ থেকে নাপাকি নোংরামি ও পীড়াদায়ক বস্তু অপসারন করে, আল্লাহ্‌ তায়ালা তার জন্য বেহেস্তে ঘর তৈরী করে দিবেন, (সুবহান আল্লাহ্)। 
প্রত্যেকটি মসজিদ খানায়ে কাবার প্রতিচ্ছবি, তাই এ প্রসংগে আমাদের প্রিয় নবী হাদিস শরিফে উল্লেখ করেছেন- মহান আল্লাহ’র নিকট সর্বাধিক প্রিয় ও পছন্দনীয় স্থান হলো মসজিদ। হযরত আনাস রাদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু হইতে বর্নিত – নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন- যে ব্যক্তি আল্লাহ’র সাথে সম্পর্ক স্থাপন করতে চায় সে যেন আমাকে ভালোবাসে, যে আমার সাথে মহব্বৎ রাখতে চায় সে যেনো আমার সাহাবাদেরকে ভালোবাসে, যে আমার সাহাবাদেরকে ভালবাসতে চায় সে যেনো কোরআনকে ভালোবাসে, যে কোরআনকে ভালবাসতে চায় সে যেনো মসজিদেকে মহব্বৎ করে। কেননা মসজিদ আল্লাহ’র ঘর।
হযরত আবু হুরায়রা রাদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা হইতে বর্নিত- হাদিসে রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করেছেন- তোমরা যখন বেহেস্তের বাগানে ভ্রমন করবে তখন সেখান থেকে বাগানের ফল ভক্ষন

রবিবার, ৯ ডিসেম্বর, ২০১২

কঠোরতা কিংবা শিথিলতা নয়, মধ্যম্পন্থাই ইসলামে উত্তমপন্থা


------------আ স ম আহসান উল্লাহ আব্দুল্লাহ


মানুষের স্বভাব প্রকৃতিগতভাবেই দু’ ধরনের। কেউ সাহসী কেউ ভীতু। কেউ বেশি বোঝেন, কেউ কম বোঝেন। আমাদের চিরশত্রু শয়তান তাই প্রথমেই আমাদের মানসিক প্রকৃতির খোঁজ নিয়ে সেভাবেই আমাদেরকে ধোকা দিতে চায়।

আপনি হয়তো মন-মানসিকতায় সাধারণ মানের। আর আট/দশজনের মতোই আপনি ধর্মকে সহজভাবে ভালোবাসেন। আপনার এ অনুভূতিকে কাজে লাগিয়ে শয়তান আপনাকে প্ররোচিত করবে ।

ইসলাম তো আপনি মানবেনই, কিন্তু ধীরে ধীরে, নিজেকে কষ্ট দিয়ে নয়। কি দরকার এতো তাড়াতাড়ির? আস্তে আস্তে অভ্যস্ত হবেন। যাক না কয়েকটা দিন। আপনিও নিজের অজান্তে এ ভাবনাকে সায় দিয়ে ধীরে ধীরে এক সময় দূরে সরে যাবেন। প্রথমে সুন্নত ছেড়ে দিয়ে, তারপর ওয়াজিব, তারপর ফরজ নামাজগুলো, তারপর জুমার নামাজ, তারপর ঈদের নামাজ। এভাবে বাদ দিতে দিতে চলে আসবে আপনার নিজের জানাজার সময়।

আবার আরেকজন মন-মানসিকতায় দৃঢ়। তাকে সহজে ঘায়েল করা যাবে না। শয়তান তখন অন্য পথে হাঁটে। এ পথের নাম- ‘অতি ধার্মিকতার পথ’। ভেতরে ভেতরে তাকে উসকে দেবে, তোমার অজু হয়নি, কোনো অঙ্গ হয়তো শুকনো রয়ে গেছে, যাও আবার অজু করো। নামাজ মাত্র এ কয়েক রাকাত! আরে আরো বেশি করে আদায় করো। রোজা শুধু রমজান কেন, সারা বছর জুড়ে রাখো। রাতে ঘুম কেন, সারা রাত নামাজ পড়ো, তুমি পারবেই!

বুখারি ও মুসলিম শরিফে বর্ণিত, তিনজন যুবক একদিন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর ঘরে এসে তাঁর ইবাদত সম্পর্কে খোঁজ নিলেন। কিন্তু রাসূলের ইবাদতের বর্ণনা শুনে তারা অবাক হয়ে গেলেন। তারা বলতে লাগলেন, ও তিনি তো নবী! আমরা তো আর নবীর মতো না। ইবাদত আমাদেরই করতে হবে

সোমবার, ৩ ডিসেম্বর, ২০১২

"ইসলামের শিক্ষায় সত্যবাদিতা : একটি মহৎ মানবিক গুণ"

              ------- আ স ম আহসান উল্লাহ আব্দুল্লাহ


মানুষ পৃথিবীর সর্বশ্রেষ্ট জাতি মহান আল্লাহ্ সুবহানাহু তায়ালা মানব জাতিকে অনেক গুলো গুনে গুনাম্বিত করে অনেক দয়া করে শ্রেষ্টত্ব দান করে এই সুন্দর পৃথিবীতে পাঠিয়েছেন বিনিময়ে মানব জাতি তাঁর শ্রেষ্টত্ব প্রমান আল্লাহ সন্তুষ্টির জন্য যেসকল মানবিক গুণের সার্থক বাস্তবায়নের জন্য সর্বদা সচেষ্ট থাকবে, তার মাঝে সত্যবাদিতা একটি মহৎ মানবিক গুণ

সত্যবাদিতা ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে সকল মানুষের নিকট একটি প্রিয় কাঙ্ক্ষিত গুণ। পক্ষান্তরে অসত্য বা মিথ্যাবাদিতা জাতি-ধর্ম সকলের কাছেই ঘৃনিত। সত্য-মিথ্যা, প্রিয়-অপ্রিয় হওয়ার ক্ষেত্রে সকল জাতিই একমত। সত্যাবাদিতার গুণটি তাই স্বভাবতই অধিক গুরুত্বপূর্ণ ইসলাম ধর্মে। জন্য দেখা যায় ইসলামের নবী, আমাদের প্রান-প্রিয় রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নবুয়ত প্রাপ্তির পূর্বেই "আল-আমিন" তথা সত্যবাদী উপাধিতে ভূষিত হয়েছেন। নবুয়ত প্রাপ্তির পরে তাঁর সত্যনিষ্ঠতার কথা তো বলাই বাহুল্য। দির্ঘ জীবনের প্রকৃত সততার উজ্জ্বল প্রমাণ আমাদের প্রানের নবী, দোজাহানের বাদশা নবী, হযরত মোহাম্মাদুর রাসুলাল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম

যখন মক্কা বিজয় হল, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, কাফেরদের কতিপয় বড় বড় নেতার হত্যার

শনিবার, ১০ নভেম্বর, ২০১২

মুরুব্বীদের সম্মানে বর্তমান সমাজ ও ইসলাম

----আ স ম আহসান উল্লাহ আব্দুল্লাহ


মানুষের জীবনের সবচেয়ে দুর্বল সময় শিশু ও বৃদ্ধ কাল। এই সত্য কথাটি আমাদের সবাইর জানা, তবুও আমরা এই বিষয়ে আমাদের দৈনন্দিন জীবনের চারপাশকে গুরুত্বপুর্ন ভাবে সচেতনতার মাধ্যমে পর্যবেক্ষন করিনা। আমাদের নিজেদের পরিবার থেকেই এই বিষয়টির পর্যবেক্ষন করা ও অনুধাবন করে বিহিত ব্যবস্থা নেওয়া অত্যন্ত গুরুত্ত্বপুর্ন। 

আমাদের সমাজের অনেক জায়গায় দেখা যায়, অনেকের বৃদ্ধ বয়সে একধরনের একাকিত্ব আচ্ছন্ন করে, যার কারন বিভিন্ন অজুহাতে সন্তানেরা বৃদ্ধ বাবা-মা কে সময় দিতে পারেনা বা দেয়না, আবার নাতী-নাত্নীরাও লেখা-পড়া ও খেলাধুলা সহ বিভিন্ন ব্যস্থতার দেখিয়ে বৃদ্ধ মানুষটিকে ফাঁকি দিয়ে থাকে। তাই নিজের বাড়িতেও যেনো এক নির্বাসিত জীবনে অত্যন্ত মানবেতর সময় অতিবাহিত করতে হয় আমাদের এই মুরুব্বিকে।

বর্তমানে বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যার ৭ দশমিক ৮ শতাংশ মানুষ প্রবীন। তাদের মাঝে অনেকেই অসহায়, পারিবারিক, সামাজিক বিভিন্ন কারনে তারা সমাজের আর দশজনের মত সকল সুখ-সাচ্ছন্দ থেকে বঞ্চিত। বিভিন্ন দেশের দাতা সংস্থা গুলো পযার্প্ত অর্থ না দেওয়ায় বাংলাদেশে  বেসরকারী সংস্থা গুলো  দেশের অসহায় প্রবীনদেরকে সহায়তায় কাজ করতে পারছে না বা আগ্রহ দেখাচ্ছে না। কিন্তু একটু লক্ষ্য করলে দেখা যাবে বাংলাদেশের মানুষের আয় ক্ষমতা  বৃদ্ধি পাওয়ায় ব্যক্তিগত ভোগ বিলাসের প্রবণতা যে হারে বৃদ্ধি পেয়েছে তাতে করে সমাজের এ অসহায় প্রবীণ শ্রেণীকে  সাহায্যের জন্য বিদেশি দাতার উপর নির্ভর করে কাজ করাটা একটা মানবতাহীন সমাজেরই পরিচয় মিলে।

গত বছরের প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী  বাংলাদেশ মানুষের গড় আয়ু  এখন ৬৮ বছর। স্বাধীনতা অর্জণের সময় প্রত্যাশিত আয়ু ছিল ৩৯ দশমিক ৯৩ শতাংশ। ১৯৮০ তা বেড়েছে ৫৫ দশমিক ২৪ ও ৯০ সালে ৬০

শনিবার, ৩ নভেম্বর, ২০১২

আত্নার সাথে জিহাদ করাই হলো - আল্লাহ’র সন্তুষ্টির জন্য সর্বোত্তম জিহাদ


---আ স ম আহসান উল্লাহ আব্দুল্লাহ


 জিহাদ শব্দের বাংলা অর্থ চেষ্টা, যাহা পরিশ্রম, অধ্যাবসায়, প্রাণান্তকর প্রচেষ্টা ইত্যাদি শাব্দিক ও পারিভাষিক অর্থে ব্যবহৃত হয়। জিহাদ সম্পর্কে আল্লাহ্‌ সুবহানাহু তায়ালা পবিত্র কুরানে বলেছেন- “তোমরা আল্লাহ’র পথে জিহাদ কর এবং জেনে রেখ যে আল্লাহ্‌ সর্ব শ্রোতা ও সর্বজ্ঞ” (সুরা বাকারা, আয়াত-২৪৪)

ঈমান আনার পর প্রত্যেক মুসলমান নর-নারীর উপর নামাজ, রোজা, হজ্ব, যাকাত ফরজ করা হয়েছে, ঠীক এই পাঁচ ফরজের পরবর্তি ফরজ হল জিহাদ। পবিত্র কুরানে কালামে- তাওহীদের পরেই সবচেয়ে বেশী আলোচনা হয়েছে জিহাদ বিষয় নিয়ে।

জিহাদ নিয়ে আমাদের দেশে অনেকে নিজের মতো করে  ব্যাখ্যা দিয়ে থাকে। তবে যে যাহাই বলুক না কেনো, কিছু সংখ্যক বিজ্ঞ আলেমদের সাথে একমত পোষন করে আমি মনে করি- জিহাদ মুলত পাঁচ
ভাগে বিভক্ত -১) আত্নার সাথে জিহাদ, ২) শারিরিক জিহাদ, ৩)আর্থিক জিহাদ, ৪) ইলম ও জ্ঞান চর্চার জিহাদ, ৫) অনৈসলামিক বা অসামাজিক কার্যকলাপের বিরুদ্ধে জিহাদ। তার মধ্যে সর্বোত্তম জিহাদ হলো নিজের আত্নার সাথে জিহাদ করা।

আত্নার সাথে জিহাদ করা মানে হলো- ব্যক্তি জীবনে দুনিয়াবি সকল সুখ-বিলাসিতার প্রতি আশক্ত না

শনিবার, ২৭ অক্টোবর, ২০১২

“পিতা ও পুত্রের সকল ত্যাগই আল্লাহ’র জন্য, এটাই আমাদের কুরবানীর শিক্ষা”

------আ স ম আহসান উল্লাহ আব্দুল্লাহ

পবিত্র ঈদ-উল আযহার প্রধান ও বিশেষ আমল হলো কুরবানী, আর এই কুরবানীর মূল শিক্ষা হলো- মহান আল্লাহ্‌ সুবহানাহু তায়ালার মর্জির উপর, কোন প্রকার কুন্টাবোধ না করে, সম্পুর্নভাবে আত্নসমর্পন করা ।

হযরত ইসমাইল আলাইহি ওয়াসাল্লামের বয়স যখন ১৩ বছর, ঠিক তখন মহান রাব্বুল আলামিন, হযরত ইসমাইল আলাইহি ওয়াসাল্লামের পিতা হযরত ইব্রাহিম আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে স্বপ্ন ওহীর মাধ্যমে স্বীয় পুত্র হযরত ইসমাইল আলাইহি ওয়াসাল্লামকে কুরবানীর আদেশ করলে- হযরত ইব্রাহিম আলাইহি ওয়াসাল্লাম, আল্লাহ’র প্রেমে মশগুল হয়ে স্বীয় পুত্র হযরত ইসমাইল

শনিবার, ২০ অক্টোবর, ২০১২

ইসলামের দৃষ্টিতে ঈদ-ঊল আযহা বনাম বর্তমান সমাজের ঈদ উৎসব

          ---------আ স ম আহসান উল্লাহ আব্দুল্লাহঃ
পবিত্র ঈদ-ঊল আযহার আনন্দ বার্তা নিয়ে যিলহজ্ব মাসের আগমন-মমিন মুসলমানদের জন্য এক বিশেষ নেয়ামত। হজ্ব ও কোরবানির মাস হিসাবে যিলহজ্ব মাসের ফযিলত সম্পর্কে পবিত্র কোরান হাদিসে একাদিকবার উল্লেখ হয়েছে। মুমিন মুসলমানদের জন্য যিলহজ্ব মাস অত্যাধিক গুরুত্বপুর্ন হওয়ার কারন- এই মাসে মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের জন্য মানব জাতির মুল ইবাদত গুলোর সমন্বয় ঘটানো হয়েছে, যেমন- এই মাসে নামাজ, রোজা,সদকা, হজ্ব সম্পাদন করা হয়, যাহা বছরের অন্যান্য সময়ে করা সম্ভব নয়। যার কারনে বিভিন্ন উলামায়ে কেরাম বলেছেন- যিলহজ্ব মাসের প্রথম ১০ দিন  সবচেয়ে উত্তম দিন এবং রমজান মাসের শেষ ১০ রাত সবচেয়ে উত্তম রাত। 

মহান আল্লাহ্‌ সুবহানাহু তায়ালা অশেষ মেহেরবানী করে যেমনি আমাদেরকে এই দিন-রাত গুলো নেয়ামত হিসাবে দান করেছেন, ঠিক তেমনি ভাবে এই বিশেষ দিন গুলোতে বিশেষ ইবাদতের মাধ্যমে আল্লার সুন্তুস্টি অর্জনের কিছু নিয়মকানুনও নিদ্রিস্ট করে দিয়েছেন,
যেমন- আরাফার দিন ফজর থেকে যিলহজ্ব মাসের ১৩ তারিখ আসর পর্যন্ত তাকবীরবলা (ইমাম

শনিবার, ১৩ অক্টোবর, ২০১২

“ধৈর্য” দিয়ে বিপদের মোকাবেলা করুন।


------আ স ম আহসান উল্লাহ আব্দুল্লাহঃ 
ব্যক্তিগত জীবন, পারিবারিক জীবন, সামাজিক জীবন, রাষ্ট্রীয় জীবনের অনেক ক্ষেত্রেই আজ অশান্তির অসহয্য অগ্নিশিখার তাপদাহ পরিবেশে বাতাস ভারী হয়ে আসছে। বেকারত্বের অভিশাপ, অর্থসংকট, সম্পদহীন জীবন যেনো আজ দুর্বার ঘাসের মতো। অসহায়, অসহয্য সমস্যাগ্রস্ত জীবনের অস্থির ভাবনায় জীবন আজ বিভীষিকাময়। অস্থির মনে ছুটোছুটি। ভাবনার সমুদ্রে উত্তাল তরঙ্গ। এই অসয্য যন্ত্রনা থেকে মুক্তির উপায় আজ আমাদের অনেকেরই জানা নাই।

কিন্তু যিনি আমাদের কে অনেক দয়া করে এই পৃথিবীতে পাঠিয়েছেন সেই মহান আল্লাহ্‌ সুবহানাহু তায়ালা  পবিত্র কুরআন শরীফে বাতলে দিয়েছেন কঠিন মুসিবতের সহজ সমাধান। মুমিনদের জন্য স্পষ্ট ঘোষণা দিয়েছেন“নিশ্চয়ই আল্লাহ ধৈর্যশীলদের সঙ্গে আছেন
প্রতিনিয়ত আমরা চলার পথে জানা অজানা অসংখ্য বিপদের সম্মুখীন হই  জীবনের কঠিন বিপদগুলো কখনো কখনো আমাদের ধৈর্যের বাধ ভেঙ্গে দেওয়ার মতো করে আসে। তখন মনে হয় আর

মঙ্গলবার, ৯ অক্টোবর, ২০১২

সমাজে করতে হলে শান্তির আয়োজনঃ প্রতিবেশীর হক আদায় করা আজ বড়ই প্রয়োজন ।


-------আ স ম আহসান উল্লাহ আব্দুল্লাহ।
 আমাদের সমাজ দিন দিন উন্নতির পথে এগিয়ে যাচ্ছে, এই কথাটি যেমনি আমরা স্বীকার করবো, সাথে সাথে এটাও স্বীকার করতে হবে যে আমাদের সমাজে অশান্তির মাত্রাও দিন দিন বেড়ে চলেছে। সমাজের সার্বিক অশান্তির অনেক গুলো কারন থাকলেও প্রতিবেশীর হক অনাদায়, সামাজিক অশান্তির এক অন্যতম কারন।
 আজকের সমাজে সম্মান-শ্রদ্ধা, আন্তরিকতা-ভালোবাসা, পরস্পর ভ্রাতৃত্ব বন্ধন সহ সকল সম্পর্ক যেনো অন্ধকারে নিমজ্জিত। ফলশ্রুতিতে সমাজে আজ চোগলখুরি, হিংসা-হানাহানি, লুট-তরাজ, খুন-খারাবি, জবর দখলের মত অসামাজিক কার্যক্রম ও অন্যায় অনিয়ম বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং সামাজিক অশান্তিনামক এক ভয়াভহ ব্যধিতে গোটা সমাজ দিন দিন আক্রান্ত হচ্ছে। সমাজের ছোট-বড় প্রত্যেকটি স্তর থেকে আমরা আমাদের প্রতিবেশীর হক আদায়ের মাধ্যমে সামাজিক অশান্তি নামক এই ব্যধি থেকে মুক্তি লাভের উপায় খোজ করতে পারি।
 পবিত্র কালামে পাক কুরআন শরিফ ও হাদিস শরিফের আলোকে প্রতিবেশীর হক আদায়ের গুরুত্ত

রাসুলের প্রতি যদি থাকে ভালোবাসাঃ মুসলমানদের ঐক্যবদ্ধই একমাত্র আশা।


---আ স ম আহসান উল্লাহ আব্দুল্লাহ।
মানব জাতীর সার্বিক কল্যাণের জন্য, মহান আল্লাহ সুবহানাহু তায়ালা আমাদের কে অনেক দয়া করে, সত্য আদর্শের মূর্তপ্রতীক হিসাবে রাসুল  সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামদেরকে প্রেরন করেছেন। এইক্ষেত্রে, সর্বপ্রথম-সর্বশেষ ও সর্বশ্রেষ্ট রাসুল, আমাদের প্রান-প্রিয় রাসুল হযরত মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কে, পৃথিবীর সকল রাসুলদের সর্দার ও কেয়ামতের দিন কঠিন মুসিবতের সময়ের একমাত্র শাফায়াতকারী ঘোষনা দিয়ে আমাদের মাঝে প্রেরন করেন, যাহা আমাদের জন্য এক বিশাল নেয়ামত।
কিন্তু ইসলাম বিদ্বেষী ও নবীদ্রোহীরা, তা মেনে নিতে পারিনাই বিধায় বর্তমান বিশ্বে মুসলমানদের বিরুদ্ধে মানবতার শত্রুরা সুগভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। তাই ঐ সকল নরপশুরা বিভিন্ন সময় বিভিন্ন সাংবাদিক, লেখক, কার্টুনিস্ট ও চলচিত্র পরিচালক দিয়ে, বিশ্বের কোটি কোটি মুসলমানদের প্রানপ্রিয় নবীকে নির্মম অপমান করে(নাউজুবিল্লাহ),  ধর্মীয় আনুভুতিতে চরম আঘাত করেছে।
এরাই সালমান রুশদীকে দিয়ে স্যাটানিক ভার্সেস লিখিয়ে আমাদের নবীর সুমহান মর্যাদার অপমান

বৃহস্পতিবার, ৪ অক্টোবর, ২০১২

কুরআন মজীদ ও সহীহ হাদীসের আলোকে হজ্ব ও উমরার গুরুত্ব ও ফযীলত

ইসলামের মূল স্তম্ভসমূহের পঞ্চমটি হল হজ্বে বায়তুল্লাহ। ঈমাননামাযযাকাত ওরোযার পরই হজ্বের অবস্থান। হজ্ব মূলত কায়িক  আর্থিক উভয়ের সমন্বিত একটিইবাদত। তাই উভয় দিক থেকে সামর্থ্যবান মুসলিমের উপর হজ্ব পালন করা ফরয।অর্থাৎ হজ্ব আদায়ে সক্ষম এমন শারীরিক সুস্থতার পাশাপাশি নিত্যপ্রয়োজনীয়খরচাপাতি  আসবাবপত্রের অতিরিক্ত হজ্বে যাওয়া-আসার ব্যয় এবং হজ্ব আদায়কালীনসাংসারিক ব্যয় নির্বাহে সক্ষম এমন সামর্থ্যবান ব্যক্তির উপর হজ্ব আদায় করা ফরয।হজ্ব প্রত্যেক মুসলমানের উপর সারা জীবনে একবারই ফরয হয়। একবার ফরয হজ্বআদায়ের পর পরবর্তী হজ্বগুলো নফল হিসেবে গণ্য হবে।  সম্পর্কে হাদীস শরীফেবর্ণিত হয়েছেআবু হুরায়রা রাবর্ণনা করেনএকদা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহিওয়াসাল্লাম আমাদের উদ্দেশ্যে ভাষণ দিলেন। তিনি বললেন-
হে মানবসকলআল্লাহ তাআলা তোমাদের উপর হজ্ব ফরয করেছেন। সুতরাং তোমরাহজ্ব করো। এক ব্যক্তি বললইয়া রাসূলাল্লাহপ্রতি বছর কি হজ্ব করতে হবেতিনি চুপরইলেন এবং লোকটি এভাবে তিনবার জিজ্ঞেস করল। অতপর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহুআলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনআমি যদি হ্যাঁ বলতামতাহলে তা (প্রতি বছর হজ্ব করা)ফরয হয়ে যেতোকিন্তু তোমাদের পক্ষে তা করা সম্ভব হতো না।-সহীহ মুসলিমহাদীস :১৩৩৭ (৪১২); মুসনাদে আহমদহাদীস : ১০৬০৭সহীহ ইবনে হিববানহাদীস :৩৭০৪সহীহ ইবনে খুযাইমাহাদীস : ২৫০৮সুনানে নাসায়ী /১১০শরহেমুশকিলুল আছারহাদীস : ১৪৭২সুনানে দারাকুতনী /২৮১
ইবনে আববাস রাহতে বর্ণিত অনুরূপ হাদীসে আরো বলা হয়েছেহজ্ব (ফরযহলএকবারএরপরে যে অতিরিক্ত আদায় করবে তা নফল হিসেবে গণ্য।-মুসনাদে আহমদ,হাদীস : ২৩০৪সুনানে দারিমীহাদীস : ১৭৮৮সুনানে নাসায়ী /১১সুনানে আবুদাউদহাদীস : ১৭২১সুনানে ইবনে মাজাহহাদীস : ২৮৮৬মুসতাদরাকে হাকিম,হাদীস : ৩২০৯
হজ্ব যেহেতু একবারই ফরয তাই যার উপর হজ্ব ফরয হয়েছে সে যদি মৃত্যুর আগে যেকোনো বছর হজ্ব আদায় করেতবে তার ফরয আদায় হয়ে যাবে। কিন্তু হজ্ব বিধানেরমৌলিক তাৎপর্যতার যথার্থ দাবি  আসল হুকুম হচ্ছে হজ্ব ফরয হওয়ার সাথে সাথেআদায় করা। বিনা ওজরে বিলম্ব না করা। কারণ বিনা ওজরে বিলম্ব করাও গুনাহ। আল্লাহতাআলা  তার রাসূল ফরয হজ্ব আদায়ের প্রতি এমনভাবে