শনিবার, ১৫ ডিসেম্বর, ২০১২

“মসজিদের আদব-কায়দা ও সম্মান এবং আমাদের করনীয়”

  ------------------আ স ম আহসান উল্লাহ আব্দুল্লাহ


মসজিদ হলো পৃথিবীর বুকে মহান আল্লাহর পবিত্র ঘর। ইসলাম ও মুসলমানদের দৈনন্দিন ইবাদতের সর্বোচ্ছ  পবিত্র স্থান এই মসজিদ। এর পবিত্র রক্ষা করা প্রত্যেক মুসলমানের উপর ফরয।
মসজিদের পবিত্রতা রক্ষা করার গুরুত্ত্ব বর্ণনা করতে গিয়ে, হযরত আবু সাঈদ খুদরী রাদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু বলেন-নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, যে ব্যক্তি মসজিদ থেকে নাপাকি নোংরামি ও পীড়াদায়ক বস্তু অপসারন করে, আল্লাহ্‌ তায়ালা তার জন্য বেহেস্তে ঘর তৈরী করে দিবেন, (সুবহান আল্লাহ্)। 
প্রত্যেকটি মসজিদ খানায়ে কাবার প্রতিচ্ছবি, তাই এ প্রসংগে আমাদের প্রিয় নবী হাদিস শরিফে উল্লেখ করেছেন- মহান আল্লাহ’র নিকট সর্বাধিক প্রিয় ও পছন্দনীয় স্থান হলো মসজিদ। হযরত আনাস রাদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু হইতে বর্নিত – নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন- যে ব্যক্তি আল্লাহ’র সাথে সম্পর্ক স্থাপন করতে চায় সে যেন আমাকে ভালোবাসে, যে আমার সাথে মহব্বৎ রাখতে চায় সে যেনো আমার সাহাবাদেরকে ভালোবাসে, যে আমার সাহাবাদেরকে ভালবাসতে চায় সে যেনো কোরআনকে ভালোবাসে, যে কোরআনকে ভালবাসতে চায় সে যেনো মসজিদেকে মহব্বৎ করে। কেননা মসজিদ আল্লাহ’র ঘর।
হযরত আবু হুরায়রা রাদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা হইতে বর্নিত- হাদিসে রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করেছেন- তোমরা যখন বেহেস্তের বাগানে ভ্রমন করবে তখন সেখান থেকে বাগানের ফল ভক্ষন

রবিবার, ৯ ডিসেম্বর, ২০১২

কঠোরতা কিংবা শিথিলতা নয়, মধ্যম্পন্থাই ইসলামে উত্তমপন্থা


------------আ স ম আহসান উল্লাহ আব্দুল্লাহ


মানুষের স্বভাব প্রকৃতিগতভাবেই দু’ ধরনের। কেউ সাহসী কেউ ভীতু। কেউ বেশি বোঝেন, কেউ কম বোঝেন। আমাদের চিরশত্রু শয়তান তাই প্রথমেই আমাদের মানসিক প্রকৃতির খোঁজ নিয়ে সেভাবেই আমাদেরকে ধোকা দিতে চায়।

আপনি হয়তো মন-মানসিকতায় সাধারণ মানের। আর আট/দশজনের মতোই আপনি ধর্মকে সহজভাবে ভালোবাসেন। আপনার এ অনুভূতিকে কাজে লাগিয়ে শয়তান আপনাকে প্ররোচিত করবে ।

ইসলাম তো আপনি মানবেনই, কিন্তু ধীরে ধীরে, নিজেকে কষ্ট দিয়ে নয়। কি দরকার এতো তাড়াতাড়ির? আস্তে আস্তে অভ্যস্ত হবেন। যাক না কয়েকটা দিন। আপনিও নিজের অজান্তে এ ভাবনাকে সায় দিয়ে ধীরে ধীরে এক সময় দূরে সরে যাবেন। প্রথমে সুন্নত ছেড়ে দিয়ে, তারপর ওয়াজিব, তারপর ফরজ নামাজগুলো, তারপর জুমার নামাজ, তারপর ঈদের নামাজ। এভাবে বাদ দিতে দিতে চলে আসবে আপনার নিজের জানাজার সময়।

আবার আরেকজন মন-মানসিকতায় দৃঢ়। তাকে সহজে ঘায়েল করা যাবে না। শয়তান তখন অন্য পথে হাঁটে। এ পথের নাম- ‘অতি ধার্মিকতার পথ’। ভেতরে ভেতরে তাকে উসকে দেবে, তোমার অজু হয়নি, কোনো অঙ্গ হয়তো শুকনো রয়ে গেছে, যাও আবার অজু করো। নামাজ মাত্র এ কয়েক রাকাত! আরে আরো বেশি করে আদায় করো। রোজা শুধু রমজান কেন, সারা বছর জুড়ে রাখো। রাতে ঘুম কেন, সারা রাত নামাজ পড়ো, তুমি পারবেই!

বুখারি ও মুসলিম শরিফে বর্ণিত, তিনজন যুবক একদিন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর ঘরে এসে তাঁর ইবাদত সম্পর্কে খোঁজ নিলেন। কিন্তু রাসূলের ইবাদতের বর্ণনা শুনে তারা অবাক হয়ে গেলেন। তারা বলতে লাগলেন, ও তিনি তো নবী! আমরা তো আর নবীর মতো না। ইবাদত আমাদেরই করতে হবে

সোমবার, ৩ ডিসেম্বর, ২০১২

"ইসলামের শিক্ষায় সত্যবাদিতা : একটি মহৎ মানবিক গুণ"

              ------- আ স ম আহসান উল্লাহ আব্দুল্লাহ


মানুষ পৃথিবীর সর্বশ্রেষ্ট জাতি মহান আল্লাহ্ সুবহানাহু তায়ালা মানব জাতিকে অনেক গুলো গুনে গুনাম্বিত করে অনেক দয়া করে শ্রেষ্টত্ব দান করে এই সুন্দর পৃথিবীতে পাঠিয়েছেন বিনিময়ে মানব জাতি তাঁর শ্রেষ্টত্ব প্রমান আল্লাহ সন্তুষ্টির জন্য যেসকল মানবিক গুণের সার্থক বাস্তবায়নের জন্য সর্বদা সচেষ্ট থাকবে, তার মাঝে সত্যবাদিতা একটি মহৎ মানবিক গুণ

সত্যবাদিতা ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে সকল মানুষের নিকট একটি প্রিয় কাঙ্ক্ষিত গুণ। পক্ষান্তরে অসত্য বা মিথ্যাবাদিতা জাতি-ধর্ম সকলের কাছেই ঘৃনিত। সত্য-মিথ্যা, প্রিয়-অপ্রিয় হওয়ার ক্ষেত্রে সকল জাতিই একমত। সত্যাবাদিতার গুণটি তাই স্বভাবতই অধিক গুরুত্বপূর্ণ ইসলাম ধর্মে। জন্য দেখা যায় ইসলামের নবী, আমাদের প্রান-প্রিয় রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নবুয়ত প্রাপ্তির পূর্বেই "আল-আমিন" তথা সত্যবাদী উপাধিতে ভূষিত হয়েছেন। নবুয়ত প্রাপ্তির পরে তাঁর সত্যনিষ্ঠতার কথা তো বলাই বাহুল্য। দির্ঘ জীবনের প্রকৃত সততার উজ্জ্বল প্রমাণ আমাদের প্রানের নবী, দোজাহানের বাদশা নবী, হযরত মোহাম্মাদুর রাসুলাল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম

যখন মক্কা বিজয় হল, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, কাফেরদের কতিপয় বড় বড় নেতার হত্যার