.....আ স ম আহসান উল্লাহ আব্দুল্লাহ
মুসলিম বিশ্বে যেই দিনটি ও যেই মাসটি সবচেয়ে বেশী গুরুত্বপুর্ন, তা হলো ৫৭০ খ্রিস্টাব্দের ১২ই রবিউল আঊয়াল। যেহেতু এই দিনে আমাদের প্রিয় রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের জন্য রহমত হয়ে আগমন করেছেন।
ইতিহাস ও সীরাতের কিতাবাদি থেকে জানা যায়- হিজরি সপ্তম শতকের প্রথম দিকে সর্বপ্রথম বর্তমান ইরাকের মসুল শহরের এক বিশিষ্ট বুজর্গ, হযরত শায়খ ওমর বিন মুহাম্মাদ ঈদ-এ-মিলাদুন্নাবীর মাহফিলের ব্যবস্থাপনা করেন। তারই অনুকরনে ইরবলের বাদশা মালিক মুজাফফর আবু সাইয়িদ রাষ্ট্রিয় ভাবে, ১২ই রবিউল আউয়াল ঈদ-এ-মিলাদুন্নাবী উৎযাপন শুরু করেন। বাদশা মালিক মুজাফফর আবু সাইয়িদের রাষ্ট্রিয় ভাবে ইদ-এ-মিলাদুন্নাবীর উনুষ্ঠানে, সে যুগের জ্ঞানী-গুনী, ও উলামায়ে মাশায়েখ নির্দ্বীধায় অংশগ্রহন করতেন।
ঈদ-এ-মিলাদুন্নাবী উৎযাপনের পক্ষে আন্তরিক সমর্থনে তত্ত্ব দিয়ে লেখেছেন- ঈমাম জালাল উদ্দিন সুয়্যুতি রাহমাতুল্লাহ আলাইহি, তাঁর প্রসিদ্ধ কিতাব- হাসানিল মাকসুদ ফি আমালি মাওলুদ। আল্লামা মুহাম্মাদ বিন ইউসুফ, তাঁর কিতাব- সাবিলুল হুদা ওয়ার রাসাদ ফি সিরাতি খাইরিল ইবাদ। আল্লামা নুরুদ্দিন হলবী, তাঁর কিতাব- সীরাতে হলবীয়া। শায়খ আহমদ জয়নী, তাঁর কিতাব- সীরাতে নবুবীয়াহ। শায়খ আব্দুল খাত্তাব বিন দেহইয়াহ আন্দুলুসি, তাঁর কিতাব- আত তানবীর ফি মাওলিদিল বাশীর ওয়া নাযীর। মিশরের প্রখ্যাত আলেম- মোল্লা আলী কারী রাহমাতুল্লাহ আলাইহি তাঁর কিতাব- আলমাওরিদুর রাবিউ ফি মাউলিদিন নাবী, এই গ্রন্থে তিনি উল্লেখ করেছেন যে মুহাদ্দিসিন ও ওলামায়ে কিরাম এই পুন্য কাজটিকে অত্যাধিক পছন্দ করতেন।
উপরোল্লেখিত আলেমে মাশায়েখগন সহ শায়খুল ইসলাম আল্লামা হাফেয ইবনে হাজর আসকালানী



